Monday, November 20, 2017

মৃত সন্তান প্রসব ঠেকাতে নারীদের কাত হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ এক গবেষণায়

মৃত সন্তান প্রসব প্রতিরোধে সন্তানসম্ভবা নারীদেরকে একপাশে কাত হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 গর্ভধারণ কালের শেষ তিন মাস সম্ভাব্য মায়েদেরকে এভাবেই ঘুমাতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটেনে প্রায় এক হাজার নারীর ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পিঠের ওপর চিৎ হয়ে ঘুমালে মৃত শিশু জন্মদানের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। গবেষণায় ২৯১ জন গর্ভবতী নারীর উপর নজর রাখা হয়েছিলো যারা মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছেন এবং ৭৩৫ জন নারী জন্ম দিয়েছে জীবিত শিশুর। এই সমীক্ষার পর গবেষকরা বলছেন, নবজাতকের স্বাস্থ্যের সাথে সম্ভাব্য মা কিভাবে ঘুমাচ্ছেন তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এবং ঘুমানোর এই ভঙ্গিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারা এও বলছেন, ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সন্তানসম্ভবা নারী যদি দেখেন যে তারা তাদের পিঠের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন তাহলে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। ব্র্যাডফোর্ডের একজন নারী গ্রেইস, প্রেগনেন্সির ৩৫ সপ্তাহের মাথায় তার সন্তানকে হারিয়েছেন। তিনি বলছেন, "আমি জানতাম কিছু একটা ভুল হয়েছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম কিছু একটা হয়েছে। আমি হাসপাতালে ছুটে গেলাম। তারা মনিটর অন করে সেখানে শিশুর হার্টবিট খুঁজে পেল না। আমার জীবনের খুব কষ্টকর মুহূর্ত ছিলো সেটি- যখন দেখলাম আমার সন্তান তার জন্মের আগেই মারা গেছে।"গ্রেইস এখনও জানেন না কি কারণে তার গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছিলো।




























যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে ২২৫টি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একটি মৃত শিশুর জন্ম হয়। বলা হচ্ছে, সম্ভাব্য মা যদি একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে যান তাহলে বছরে ১৩০টির মতো নবজাতকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

ব্রিটিশ জর্নাল অফ অবসটেট্রিক্স এন্ড গাইনোকলজি এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।

এর আগে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতেও একই ধরনের গবেষণাতেও সন্তানসম্ভবা মায়েদেরকে প্রায় একই রকমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।


ম্যানচেস্টারে এই গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক প্রফেসর আলেকজান্ডার হেজেল এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, গর্ভবতী নারীদেরকে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে সেটি হলো- তারা কি পজিশনে ঘুমাতে গিয়েছিলেন।
"এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই অবস্থানেই তিনি সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। আর ঘুম থেকে উঠার পর নিজেকে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে দেখলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ ওই পজিশন নিয়ে কিছু করার আর কোন সুযোগ নেই। কিন্তু কি পজিশনে ঘুমাতে যাচ্ছেন সেবিষয়ে নারীরা অনেক কিছু করতে পারেন।
চিৎ হয়ে কিম্বা উপুড় হয়ে ঘুমালে মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি কেন বেড়ে যায় সেবিষয়ে গবেষকরা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।
কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে- নারীরা যখন পিঠের উপর শুয়ে থাকে তখন শিশু এবং গর্ভাশয় এই দুটোর মোট ওজন রক্তনালীগুলোর ওপর চাপ তৈরি করে। এর ফলে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্ত এবং অক্সিজেনের প্রবাহ ব্যাহত হতে পারে।
একপাশে কাত হয়ে কিভাবে ঘুমানো যায় তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা:
আপনি যখন ঘুমাতে বিছানায় যাবেন তখন আপনার পিঠের পেছনে কয়েকটি বালিশ রেখে দিন যাতে একদিকে কাত হয়েই ঘুমাতে হয়।
রাতের বেলা হঠাৎ যদি আপনার ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে একবার দেখে নিন আপনি কি পজিশনে ঘুমিয়ে আছেন, তারপর আবার একপাশে কাত হয়ে ঘুমাতে চলে যান।
দিনের বেলায় ঘুমাতে গেলেও, যদি সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যেও হয়, তখনও আপনি রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার মতো শরীরের পজিশনকে গুরুত্ব দিন।
ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর যদি দেখেন চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাথে সাথেই একপাশে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
তবে ডান দিকে বা বাম দিয়ে কাত শোওয়ার মধ্যে গবেষণায় কোন পার্থক্য পাওয়া যায়নি।

Thursday, October 12, 2017

এবার বাংলাদেশেও ‘ব্লু হোয়েল’ আসক্ত হয়ে এক মেধাবী তরুণীর আত্মহত্যা ।

এবার বাংলাদেশে হানা দিলো ব্লু হোয়েল। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর এই গেমের বলি হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মেধাবী তরুণ-তরুণী। গত দু’মাস ধরে ভারতজুড়ে চলছে ব্লু হোয়েল আতঙ্ক।
এবার ব্লু হোয়েল গেমের শিকার রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের এক তরুণী। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয় তার পড়ার কক্ষ থেকে। কিশোরীর নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা। ছিল তুখোড় মেধাবী। স্কুলের ফার্স্ট গার্ল হিসেবেই পরিচিত ছিল সে।



ওয়াইডব্লিউসিএ হাইয়ার সেকেন্ডারি গালর্স স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্মিলিত মেধা তালিকায় ছিল প্রথম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলে। তার বয়স ছিল মাত্র তেরো। পড়ছিল অষ্টম শ্রেণিতে। হলিক্রস স্কুলে ভর্তির পর থেকে বদলে যেতে থাকে সে। পড়াশোনার জন্য সে ব্যবহার শুরু করে ইন্টারনেট।

কয়েক বছর আগে থেকেই এনড্রয়েড মোবাইল ফোনও ব্যবহার শুরু করে স্বর্ণা। ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার চলছিল। এরই মধ্যে সবার অজান্তে সে ঢুকে পড়ে ইন্টারনেটের এক নিষিদ্ধ গেমসে। নিহত কিশোরীর পিতার সন্দেহ, তার আদরের মেয়ে ঢুকে পড়েছিল ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস ব্লু হোয়েলে।

গত বুধবার দিবাগত শেষ রাতে সে নিজের পড়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরদিন বৃহস্পতিবার ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় নিউ মার্কেট থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসা ৫বি ফ্ল্যাট থেকে। ব্লু হোয়েলের কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া একটি চিরকূটও উদ্ধার করা হয়। তা এখন পুলিশের হাতে। তাতে বড় করে লেখা, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়।’ লেখা শেষে গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্ন আঁকা।




গতকাল তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, এক শোকাবহ পরিবেশ। কিছুক্ষণ পর পর স্বজনরা শোক জানাতে বাড়িতে আসছে। স্বর্ণার পিতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত বর্মন নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। আর তা মা সানি চৌধুরী ওরফে সানি বর্ধন মাঝে মাঝে জ্ঞান হারাচ্ছেন।

কিশোরীর পিতা অ্যাডভোকেট সুব্রত বর্মন বলেন, স্বর্ণা কয়েক বছর ধরে কম্পিউটার ও এনড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করছিল। প্যারা, রচনাসহ বিভিন্ন বিষয় ডাউনলোড করে পড়তো। ব্যবহার করতো ফেসবুক। কিছুদিন আগে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। গত পনের দিন আগে আমি তার মোবাইল চেক করলে সে অভিমান করে।

মনে হয়েছে আমি তার কক্ষের ঢোকার আগ মুহূর্তেই হয়তো কিছু গোপন জিনিস ডিলিট বা সরিয়ে ফেলেছে। তখন তাকে মোবাইলে একটি প্যারা পড়তে দেখি। এরপর থেকে যতই এই আত্মহত্যার দিন ঘনিয়ে আসে ততই সে আমাদের সঙ্গে বেশ আন্তরিকতা দেখিয়ে যাচ্ছিলো। তাকে যেন কোনোভাবে সন্দেহ না করি।

আত্মহত্যা নির্বিঘ্ন ও মৃত্যু নিশ্চিত করতে আগেই সে বেশ পরিকল্পনা করে। চট্টগ্রাম থেকে বেশ কয়েকদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে গত বুধবার বাসায় ফেরার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনস্যুলিন নেয়ার আগে সে আমাকে একটি ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। তার কক্ষে এসি থাকায় আমি তার কক্ষে শুয়ে পড়ি। তাকে তার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের কক্ষে ঘুমাতে বলি।

কিছুক্ষণে আমার চোখে ঘুম চলে আসে। রাত একটার দিকে সে আমাকে জাগিয়ে নিজের কক্ষে যেতে বললে আমি ঘুম ঘুম চোখে চলে যাই। এরপর কিশোরী কাজের মেয়ের সঙ্গে যথারীতি সে নিজের কক্ষে যায়। তার কক্ষের দরজার লক খোলা রাখা হতো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মা ঘুম থেকে জাগার পর আমরা মর্নিং ওয়াকে বের হওয়ার আগে দরজায় টোকা দেয়।

দরজা বন্ধ পেয়ে সে চাবি দিয়ে দরজা খোলে। এরপর মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় নাইলনের ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। তখন দেখা যায়, খাটের উপর ডায়নিং রুমে বসানো একটি চেয়ার পড়ে আছে। চেয়ারটি ফ্যানের নিচে খাটের কোণে বসানো হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।

তা খাটের পশ্চিম পাশে নিচে পড়লেই জেগে উঠতো কাজের মেয়েটি। তা যাতে না হয় এবং কোনো শব্দ যাতে না হয় সে জন্য তা খাটের বেডের উপর ফেলা হয়। আত্মহত্যার আগে-পরের নানা পরিস্থিতি ও আলামত বিবেচনা করে তার বদ্ধমূল বিশ্বাস যে, তার আদরের মেয়ে ব্লু হোয়েলের শিকার।

অ্যাডভোকেট সুব্রত বর্মন আরো বলেন, তার মৃত্যুর পর আমি ব্লু হোয়েলের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া শরু করেছি। জেনেছি যে, রাশিয়ার এক সাইকিস্ট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এই গেমটি উদ্ভাবন ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে নাকি বাংলাদেশে আমার মেয়েসহ অন্তত ৬১ জন ব্লু হোয়েলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে। ভারতে এই সংখ্যা ১৩০ বলে জানা গেছে।

নিজ দেশ রাশিয়াতে এর শিকার হয়ে ১৮১ জন আত্মঘাতী হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ। বাংলাদেশের আইনে যদি এই অপরাধের জন্য উদ্ভাবকের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ থাকে আমি মামলা করব। এই গেমে একবার ঢুকলে আর বের হওয়া যায় না। তাই আমি অনুরোধ কেউ যেন কৌতূহলের বশেও এই গেমসে না ঢুকে।

ব্লু হোয়েল আসলে কী: এটি আদতে সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন কিংবা নিছক গেম নয়। এটি সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক একটি ডিপওয়ে গেম। যেসব কম বয়সী ছেলে-মেয়ে অবসাদে ভোগে তারাই সাধারণত আসক্ত হয়ে পড়ে এ গেমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো ক্লান্তি বা বিষণ্নতা দূর করার গেম নয়। আত্মহত্যার প্রবেশ পথ মাত্র।

ভারতে ব্লু হোয়েলে আসক্ত হয়ে আত্মঘাতী কয়েক তরুণের সুইসাইডাল নোটে লেখা হয়েছে, ‘ব্লু হোয়েলে ঢোকা যায়, বের হওয়া যায়না’।

জানা যায়, এই গেমে ৫০টি ধাপ রয়েছে। প্রথম দিকে একই গেমের কিছু সহজ কাজ থাকে। এক বা একাধিক কিউরেটর দ্বারা চালিত হয় এই গেম। কিউরেটরদের নির্দেশেই গেমের এক একটি নিয়ম মেনে চলতে থাকে অংশ গ্রহণকারীরা। নিয়ম অনুযায়ী একবার এই গেম খেললে বেরুনো যায় না। কেউ বেরুতে চাইলেও তাদের চাপে রাখতে পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয় বলে আলোচনা আছে।

এই গেমের বিভিন্ন ধাপে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। যেমন ব্লেড দিয়ে হাতে তিমির ছবি আঁকা, সারা গায়ে আঁচড় কেটে রক্তাক্ত করা, কখনো ভোরে একাকি ছাদের কার্নিশে ঘুরে বেড়ানো, রেল লাইনে সময় কাটানো, ভয়ের সিনেমা দেখা ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ নেয়ার পর এসব ছবি কিউরেটরকে পাঠাতে হয়। ২৭তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়। একবার এই গেম খেললে কিউরেটরের সব নির্দেশই মানা বাধ্যতামূলক। সব ধাপ পার হওয়ার পর ৫০তম চ্যালেঞ্জ হলো আত্মহত্যা। এই চ্যালেঞ্জ নিলে গেমের সমাপ্তি।

রাশিয়ায় শুরু হলেও এই গেমের শিকার এখন এশিয়ার অনেক দেশ। ভারতে গত দু’মাস ধরে ব্লু হোয়েল নিয়ে চলছে শোরগোল। স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে থাকা ব্লু হোয়েল লিংক সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। পাশাপাশি এই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

সাধারণভাবে গোপন গ্রুপের মধ্যে অপারেট করা হয় এ গেম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো জনপ্রিয় স্যোশাল ফ্লাট ফরমকে কাজে লাগায় এডমিনরা।

২০১৬ সালে রাশিয়ায় ব্লু হোয়েল গেমের কিউরেটর সন্দেহে ফিলিপ বুদেকিন নামের ২২ বছরের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় ফিলিপ স্বীকার করে, এই চ্যালেঞ্জের যারা শিকার তারা এই সমাজে বেঁচে থাকার যোগ্য নয়। তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আমি সমাজ সংস্কারকের কাজ করছি।

কীভাবে বুঝবেন কেউ ব্লু হোয়েলে আসক্ত: যেসব কিশোর-কিশোরী ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা সাধারণভাবে নিজেদেরকে সব সময় লুকিয়ে রাখে। স্বাভাবিক আচরণ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময় তারা কাটিয়ে দেয় স্যোশাল মিডিয়ায়। থাকে চুপচাপ।

কখনো আবার আলাপ জমায় অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে। গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় অনেককে। একটা সময়ের পর নিজের শরীরকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলতে থাকে তারা।


                                                                                 বিস্তারিত =====

গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার ।

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রানা (২০) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ধর্ষককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রানা (২০) গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদের চালা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে 

শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন মিয়া জানান, শ্রীপুরের বেড়াইদের চালা এলাকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বুধবার বিকেলে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিবেশী বখাটে যুবক রানা কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।


এ ঘটনায় বুধবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ধর্ষক রানাকে তার বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আদালতের মাধ্যমে তার বাবা-মা’র কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। 
                                                                  বিস্তারিত জানুন >>

Sunday, October 8, 2017

১৪ বছরের নাতিন কে জঙ্গলে একা পেয়ে নানা কি করলো।দেখুন ভিডিওতে।


১৪ বছরের নাতিন কে জঙ্গলে একা পেয়ে নানা কি করলো।দেখুন ভিডিওতে।




                                                                    <<<<> ভিডিও লিংক <>>>>

১৪ বছরের নাতিন কে জঙ্গলে একা পেয়ে নানা কি করলো
Sep 4, 2017 – গাজীপুরে ৫ বছরের নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ নানা গ্রেফতার … সেদিন রাত ১০টার দিকে বিশ্রাম নেয়ার কথা বলে নানা আবুল কাশেম শয়ন কক্ষের পাশের দোকান থেকে ঘরের ভেতরে যায় এবং তার স্ত্রীকে দোকানে পাঠায়। এক পর্যায়ে নানাঘুমিয়ে থাকা নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং চিৎকার করে উঠে নাতনি। নাতনির কান্নার … গাজীপুরে নিখোঁজের ২৫ দিন পর জঙ্গলে শিয়ালে খাওয়া স্কুল ছাত্রের লাশ. কিন্তু আজ যেন তার অবসরজীবনও শেষ হয়ে এসেছে। আজ যেন নিজ অস্তিত্ব ও ইতিহাসবিস্মৃত তিনি — স্মৃতি-বিস্মৃতির সীমানায় দাঁড়িয়ে তাৎপর্যহীন বেঁচে থাকার বিভ্রমে বিহ্বল থাকেন সবসময়। সায়মা নানার কথা ভাবে। নানা আজ তাকে চিনতে পারেন না। –তুই কে রে? —নানা আমি সায়মা। –কোন সায়মা? –আপনার নাতনি সায়মা।আমবাগানে খেলার সময় প্রতিবেশি এক নানা কতৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ বছরের এক শিশু। শুক্রবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা বাদি হয়ে অভিযুক্ত নানা রহমত আলীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। রহমত ছোট হাদিনগর চামাটোলাঢাকায় থাকার জায়গা চান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি. সারাদেশঢাকাTop … অনিন্দিতা কাজী বলেন, ‘দাদুকে কেন্দ্র করে নানা উপলক্ষে আমাদের বাংলাদেশে আসতে হয়। এখানে এসে … গত বছর এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন জানিয়ে কবির নাতনি বলেন, ‘আমরা ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনেক ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। উনি এ বিষয়ে … সন্তানদের নিষ্ঠুরতায় ১০বছর জঙ্গলে বৃদ্ধা

অন্যরা যা পড়ছে…

পৃথিবীর কুখ্যাত ০ ১খুনির তালিকায় একজন বাংলাদেশী !

১৯৫৭ সালের ২৫ জানুয়ারি কলম্বিয়াতে জন্ম নেয়া এই খুনি ১৯৯০ সালেই সবচেয়ে বেশি খুন করে। কলম্বিয়ার আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০ বছরের সাজা হয় তার!
লুইস গারাভিতো:
ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত এই খুনি। তার প্রমাণিত খুনের ভিকটিম ১৩৮ জন। কিন্তু সন্দেহ করা হয় সে কমপক্ষে ৪০০ জনের উপরে মানুষ খুন করেছে।
খুনের মাঝে অধিকাংশই পথশিশু। ১৯৫৭ সালের ২৫ জানুয়ারি কলম্বিয়াতে জন্ম নেয়া এই খুনি ১৯৯০ সালেই সবচেয়ে বেশি খুন করে। কলম্বিয়ার আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩০ বছরের সাজা হয় তার!
তাছাড়া সে লাশ শনাক্ত করতে পুলিশকে সাহায্য করায় তার সাজা কমিয়ে ২২ বছর করা হয়। এই সাজায় সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কলম্বিয়ার জনগণ তার জন্য আলাদা প্রসিকিউশন গঠন করার দাবি জানায়। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কলম্বিয়াতে সে খধ ইবংঃরধ (পশু) নামে পরিচিত।
জ্যাক দ্য রিপার :
ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার বলা হয় তাকে। ১৮৮৮ সাল থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত পূর্ব-লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলের আশপাশ জুড়ে সর্বমোট এগারোটি খুনের ঘটনা ঘটিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্য রিপার।
তার কোনো ছবি তো দূরে থাকুক জ্যাক দ্য রিপার নামে কখনো কোনো লোক ছিল কি-না এ সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই খুনগুলো যখন লন্ডনজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা আর আতঙ্কের ঝড় বইয়ে দিল, তখন এসব খুনের দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে জ্যাক দ্য রিপারের স্বাক্ষরযুক্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল লন্ডনের সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির কাছে।

Friday, September 15, 2017

রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এই নিয়ে আবার সমালচনা ।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছেন কয়েকটি ইসলামী দল।আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে হাজারো জনতার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ।





হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিকে ঘিরে জুমার নামাজের আগ থেকেই হাজার হাজার কর্মী জড়ো হতে থাকেন। হেফাজতের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সাধারণ মানুষও।জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে মিয়ানমারের পণ্য বর্জন করতে হবে। ফেরাউনের সময় শিশুদেরকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবে আরাকানেও নির্যাতন করা হচ্ছে। অারাকানে সূচিকে ডুবিয়ে মারা হবে।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, বার্মার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে।
রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে লং মার্চ করা হবে জানিয়ে তারা বলেন, আমাদের ভাইদেরকে রক্ষা করতে আমরা প্রস্তুত।

                                 বিস্তারিত জানুন >>>>

চালের দাম কমার আশা নেই




                               

চাল ছাড়া চলে না একদিনও। অথচ এই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কোরবানির ঈদের পরে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির খবরটি সবার জানা। সামনে চালের দাম আরো বাড়তে পারে এমন শঙ্কা এবার ছড়াচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে। তাই মোহাম্মদপুরের এই চালের আড়তগুলোতে খুচরা বিক্রেতাদের পাশাপাশি আসছেন সাধারণ ক্রেতারাও।

বিক্রেতারা বলছেন, এখন যে দামে তারা চাল বিক্রি করছেন, দুই-একদিন পরে তাদের আরো বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। কেননা তাদের এখন কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। চালের দাম বৃদ্ধির জন্য মিলারসহ সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন তাঁরা।

আড়তদারদের অভিযোগ, বাড়তি দাম দিয়েও মিলারদের কাছে চাল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার দামের অস্থিরতা দেখে নিজে থেকেই চাল কেনা বন্ধ রেখেছেন অনেক আড়তদার। চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাঁদের।

আগামী মঙ্গলবার তিন মন্ত্রীর সঙ্গে মিলারসহ ব্যবসায়ীদের বৈঠক চালের বাজারে স্বস্তি আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা বিক্রেতাদের।
 
                                                            বিস্তারিত জানুন >>>>>

সন্তান বিক্রি করলেন এক পাষণ্ড বাবা।

মোবাইল ফোন কিনতে আর মদ খাওয়ার জন্য নিজের ১১ মাসের ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছেন
এক পাষণ্ড বাবা। হতবাক করা এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উড়িষ্যায়।

মঙ্গলবার পুলিশ উড়িষ্যার ভদ্রক থেকে লোভী বাবা বলরাম মুখিকে গ্রেফতারের পর ঘটনা সামনে চলে আসে। পুলিশি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে সে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মাত্র ২৩ হাজার রুপিতে নিজের ১১ মাসের শিশুপুত্রকে ষাটোর্ধ্ব এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে বলরাম।

পরে প্রাপ্ত টাকা থেকে দুই হাজার রুপিতে নিজের জন্য একটা মোবাইল সেট কিনে। আর সাত বছরের মেয়েকে একটি রুপোর অ্যাঙ্কলেট কিনে দেন বলরাম।

আর বাকি টাকা সে মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়।

বলরাম দম্পতির ঘরে দশ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ বলরামের স্ত্রী সুকুটি ও তাদের সন্তানকে কেনা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সোমনাথ শেঠি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে।

                           বিস্তারিত জানুন >>>>>>>

রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সে বিক্ষোভ


মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার প্যারিসের প্লাস দোলা রিপাবলিকে মানবাধিকার সংগঠন ফোরাম ফর দ্য ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।



সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল আমিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ফ্রান্স শাখার সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস মিশনের গ্লোবাল চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মালেক ফরাজী, সাবেক ছাত্রনেতা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফ্রান্স বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল হক মিয়া, নজরুল গবেষক খোরশেদ আলম, ইউরোপ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা কমিটির সদস্য হারুন ইউসুফ ,কমিউনিটি নেতা আইয়ুব আলী, বিএনপি নেতা আবুল কালাম ফরাজী, প্যারিস থেকে পত্রিকার সম্পাদক সোহাইল ইবনে হোসাইন, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের এনায়েত সোহেল, বরিশাল কমিউনিটি ফ্রান্সের সভাপতি মোতালেব খান, মানিকগঞ্জ সমিতির সভাপতি শাহিনুল ইসলাম, ফ্রসে আভেক রাব্বানীর প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক রাব্বানী, ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের ট্রেজারার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান ইমন, ইমরান হোসেন, আল মামুন খান , শিল্পী মারুফ বিন ওয়াহিদ, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সময় মিয়ানমারে যে নির্মম গণহত্যা চলছে তা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সিভিলিয়ান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিশ্ব ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চলছে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আদিভূমি আরাকানসহ মিয়ানমারের সর্বত্র। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিবেকের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

বক্তারা আরও বলেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নিরবতা প্রমাণ করে এই হত্যাযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুদের উপর পাশবিক নির্যাতন তার নির্দেশে হয়েছে। সু চির নোবেল প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নোবেল কমিটির প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এছাড়া বিশ্বব্যাপী মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাত্ত কর্মসূচি দেয়ার পক্ষে মত দেন।

‘মিয়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা একের পর এক কর্মসূচি অব্যাহত রাখব।’

                                       বিস্তারিত জানুন >>>>

ধর্ষণের অপরাধে ক্রিকেটারের ১৮ বছর জেল

 অবশেষে জেলে যাচ্ছেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডিয়োন তালজার্ড। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এক নারীকে ১৫০ বারেরও বেশি ধর্ষণ করেছেন। সম্প্রতি সেই অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তারপরেই আদালতের রায়ে জেলই তার একমাত্র ঠিকানা হতে চলেছে আগামী ১৮ বছরের জন্য।   
           

                                                      <<<<<< ভিডিও  দেখতে >>>>>>














                                                        <<<<<< ভিডিও  দেখতে >>>>>>

ব্রিটেন মুলুকেই এক নারীর উপরে ২০০২-১২ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ধর্ষণক্রিয়া চালান তিনি। রীতিমতো ব্ল্যাকমেলিং করেই নিজের কুকীর্তি চালিয়ে যেতেন ওই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র যৌনক্রিয়াই নন, শারীরিকভাবেও সংশ্লিষ্ট ওই নারীকে অসংখ্য বার হেনস্থা করেছেন তিনি। অভিযোগ, গলা টিপে, দু-হাত ভাঁজ করে যন্ত্রণা দিতেন নারীকে।
সংবাদমাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, আরও অত্যাচারের ভয়ে তালজার্ডের গোপন কর্ম এতদিন ফাঁস করেননি নারী। তবে সমস্ত সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় ২০১৫ সালে। পুলিশকে খুলে সমস্ত বিষয় জানান নারী। তারপরেই চলতি সপ্তাহে ম্যাঞ্চেস্টারের মিনসুল স্ট্রিট ক্রাউন কোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ডারের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। তারপরেই তিনি খেলাধুলো ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। ১৭ বছর আগে ব্রিটেনে পাড়ি দেয়ার পর ওল্ডহ্যাম, বোল্টন এবং বুরি-র হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে খেলতেন তালজার্ড। তবে তালজার্ডের ক্যারিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব হল, একটি প্রদর্শনী ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেট লাভ করা। হ্যাটট্রিক করেছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ, আজহার মাহমুদ এবং সাঈদ আনোয়ারকে আউট করে।

যদিও আদালতের এই রায় মানছেন না তালজার্ড। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উচ্চতর আদালতে আবেদন করবেন তিন সন্তানের জনক ৪৭ বছরের এই ক্রিকেটার। তার পাশে রয়েছেন গার্লফ্রেন্ড জ্যাকেলিন কোস্তেলো। 
                                          বিস্তারিত>>>>>

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ইরান ও ইন্দোনেশিয়া।

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে ইরান ও ইন্দোনেশিয়া। 

  <<<<ত্রাণ বিতরনের ভিডিও টি দেখুন >>>>

শুক্রবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেছে
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহীম রাহিমপুর তার দেশের ৪১ টন ত্রাণ সামগ্রী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল উপস্থিত ছিলেন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, তাঁবু তৈরীর সরঞ্জাম, কম্বল, ভোজ্য তেল ও কাপড়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় ৭ টন ত্রাণ নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি বিমান। এসব ত্রাণ সামগ্রী উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষংছড়িতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ৫৩ টন এবং মরোক্কো থেকে ১৪ টন ত্রাণ সামগ্রী বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া সরকার ১২ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠায়।

          
                                                                      বিস্তারিত জানুন >>>>>>
   

সু চি’কে গালাগালির ভিডিও ফেসবুকে; আটক ৩ ,ভিডিও টি দেখুন এখনি ।

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও সরকার সমর্থকদের সহিংসতা ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। প্রাণভয়ে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ভয় দেখিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নামে গালাগালির ভিডিও ধারণ করেছেন তিন যুবক।
       

                                                            <<<<<< ভিডিও  দেখতে >>>>>>


ধারণ করা ভিডিওটি তারা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।


আটক যুবকরা হলেন- বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের করিম হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম মন্ডল (৩০), একই গ্রামের শের আলীর ছেলে কলেজছাত্র আমিন হোসেন (২৪) এবং দুর্গাপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে তৌফিক আহমেদ (৩২)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।



                                                                 

                                                                 <<<<<< ভিডিও  দেখতে >>>>>>

রাঙ্গামাটি জেলায় জ্ঞানমিত্র নামের ওই ভিক্ষু গত বুধবার ভারত থেকে দেশে ফেরার পর বেনাপোল বাজারে ওই যুবকরা তাকে ভয় দেখিয়ে অং সান সু চির বিরুদ্ধে গালিগালাজ করতে বাধ্য করে এবং তা ভিডিও করা হয়। পর দিনই তিনি প্রাণভয়ে আবার ভারতে চলে যান।

ভিক্ষু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য এ বছরের মার্চে ভারতে যাই। গত বুধবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসি। বেনাপোল বাজারে পানি কিনতে একটি দোকানে গেলে আচমকা কয়েকজন যুবক আমাকে ঘিরে ধরেন। তারপর একটা গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যান তারা। হুমকি-ধমকির মুখে বার্মার নেত্রী ‘অং সান সু চির মতো নারী কখনো বৌদ্ধ নেতা হতে পারেন না। তিনি কুকুরের বাচ্চা...’ এসব গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।’

ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ‘তুই’ সম্বোধন করে ওই ভিক্ষুকে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার জন্য দায়ী করে অং সান সু চি এবং সেখানকার উগ্রবাদী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে বলা হয়। একপর্যায়ে তিনি ‘অং সান সু চির মতো নারী কখনো বৌদ্ধ নেতা হতে পারেন না। তিনি কুকুরের বাচ্চা...’ বলতে থাকেন।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ভোরে অভিযান চালিয়ে যাদের আইডি থেকে এই ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে, তাদের আটক করে পুলিশ।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ঘটনায় যে তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের একজন ছাত্র, অন্য দুজন ব্যবসা করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বাংলাদেশের নতুন আইন স্কুল কলেজ টাইমে কোন ছেলে মেয়েকে পার্কে দেখলে জেল জরিমানা করা হবে

বাংলাদেশের নতুন আইন স্কুল কলেজ টাইমে কোন ছেলে মেয়েকে পার্কে দেখলে জেল জরিমানা করা হবে 

                

                             <<<<<<<<<<<<<< বিস্তারিত ভিডিও  দেখতে >>>>>>>>>>>>>>>

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র বিপরীতের পার্ক বা খোলা উদ্যানটিতে গেলে মনে হবে, সরকার এই স্পটটি তৈরি করেছেন ডেটিংয়ের জন্য। মাঝে মাঝে এমন আপত্তিজনক অবস্থায় তাদের দেখা যায়, বাসার বেড রুমকেও হার মানায়।

একদিন বৃষ্টির দিনে সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। একটা করে বেঞ্চ, একটা করে ছাতা আর দুটো করে মানুষ। টাইটানিক ছবি’র লিও-ক্যাট ওখানে নিশ্চিত ফেল।


এই অবস্থা রমনা, চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেনসহ ঢাকার প্রায় সব পার্কের।


এসব স্থানের জোড়ায় জোড়ায় কপোত-কপোতিদের একান্ত বৈঠক দেখলে মনে হয়, সরকার ঐ এলাকাকে বোধহয় প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানা ঘোষণা করে স্বামী-স্ত্রীদের (!) ছেড়ে দিয়েছেন। যারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমা (ডেটিং কর) !!!


আইসিডিডিআরবি পরিচালিত এক গবেষণা জরিপ থেকে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশের শহুরে তরুন-তরুনীদের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই যৌন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। প্রায় ৮০ শতাংশ তরুন-তরূনী পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এদের এক তৃতীয়াংশ আবার লিপ্ত হচ্ছেন দলগত যৌনকর্মে।’ মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের অবৈধ ব্যবহারের কারণে আমাদের যুব সমাজ খুব দ্রুত চরিত্রহীন হয়ে পড়ছে। যুবক-যুবতীদের হাতের হ্যান্ডসেট পরিণত হয়েছে পর্নোগ্রাফির ভান্ডারে। কয়েকমাস আগে ঢাবি পরিচালিত স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি উদ্ধার করা হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মিনি পতিতা গড়ে ওঠার কথা সচেতন মহলের অজানা নয়।



<<<<<<<<<<<<<<<<প্রেমের নামে পার্কে যা চলে দেখতে ক্লিক করুন->>>>>>>>>>>>>>>

এই মডার্ণ যুগে ছেলেমেয়েদের খোলামেলা মেলামেশা থেকে বিরত রাখতে সকল ধরনের উপদেশই বিফলে যাবে নিঃসন্দেহে। এক্ষেত্রে মেয়েদের একটি বুদ্ধি দেয়া যায়, রিলেশনে জড়াবেন ভাল কথা। মেলামেশা করবেন তাও নিজেদের ইচ্ছা। কিন্তু একটু খোলামেলা মেলামেশার আগে অন্তত একটা দিন ভাবুন ‘যার সাথে আপনার সম্পর্ক, সে কি এখনো আপনার কথা পরিবারের কাছে উপন্থাপন করেছে। যদি না করে, তাকে এক সপ্তাহ সময় দিন। যদি এই সময়ের মধ্যে না করে, তাহলে তার সাথে আলাপ করুন। জানতে চেষ্টা করুন সমস্যা কি? যদিও এখানে কোনো সদুত্তর না পান, তাহলে…’ আর পরামর্শ নেই। বাকীটা আপনার সিদ্ধান্ত। শুধু এ কথা মনে রাখুনৃ ‘কোনো ক্লিপই আপনা থেকে অন্য ফোনে বা ইউটিউবে যায় না!
ছেলেদের বলছি ‘আপনার সাথের মানুষটি কি আপনাকে সব সময় পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট বা ভবিষ্যত সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দিচ্ছে? নাকি রেষ্টুরেন্ট ডেটিং এবং ঘুরাফেরাতেই ব্যস্ত? তাহলে বুঝতে হবে- ‘উসকা আদাতই এ সা’।

Thursday, September 14, 2017

কোটিপতি রোহিঙ্গা পরিবারটি এখন পথের ফকির

কক্সবাজার, ১২ সেপ্টেম্বর- মিয়ানমারের টম বাজার এলাকায় খালেদা বেগম ছিলেন এক বিত্তশালী পরিবারের সদস্য। মুসলিম অধ্যুষিত ওই বাজারে তারাই ছিলেন সবচেয়ে প্রভাবশালী। তাদের হার্ডওয়্যার, মুদির দোকানসহ বেশকিছু দোকান ছিল, যা অন্তত কোটি টাকা মূল্যের। বাড়িও ছিল ওই এলাকার মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু কোটিপতি থেকে মুহূর্তেই হয়ে গেলেন পথের ফকির।


         




রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের মুখে সব দোকান, বাড়িসহ সহায় সম্পত্তি ফেলে চলে আসেন বাংলাদেশে। ১৫ দিনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্টে নাফ নদ ও কাঁটাতারের সীমারেখা পার হতে হয় তাদের। তবে তারা আসার পরপরই জানতে পেরেছেন, দোকান পাট ও বাড়িঘর জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুই দিন হলো লাম্বাবিল হয়ে কুতুপালং এসে তার আশ্রয় জুটেছে খোলা আকাশের নিচে। এখনো কোনো তাঁবু পাননি। মেলেনি কোনো ত্রাণও।

কুতুপালং সড়কের কাছে একটি নালার কিনারে কচু বাগানে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন অজানা, অচেনা পথের দিকে। সবকিছুই তার কাছে অপরিচিত। তার কোলজুড়ে ৩ মাসের একটি বাচ্চাকেও কান্না করতে দেখা যায়। গতকাল দুপুরে যখন খালেদা বেগমের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনি ছিলেন ক্ষুধার্ত। কিন্তু চেহারায় ছিল আভিজাত্যের ছাপ। ডান হাতে ছিল একটি গোল্ডেন রঙের ঘড়ি। পরনের পোশাকও ছিল অনেকটা মার্জিত। কিন্তু লজ্জায় ত্রাণের জন্য হাত পাততে পারছিলেন না।

তিনি জানান, বাংলাদেশে আসার পথে দুই লাখ মিয়ানমারের মুদ্রা কিয়াট নিয়ে আসলেও দালালদের খপ্পরে পড়ে আড়াই হাজার টাকায় তা বিক্রি করে দেন। গত দুই দিন কষ্ট করে এই টাকা দিয়ে পানি আর শুকনো কিছু খাবার কিনে বাচ্চাদের কোনোমতে খাওয়ান। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরাও না খেয়ে পথেই বসে রয়েছেন।

খালেদা খানম বলেন, টম বাজার এলাকায় তারা ছিলেন রাজার হালে। কোনো কিছুর অভাব ছিল না। তাদের প্রায় ১২ একর জমি ছিল। ত্রিশটির মতো গরু ছিল। দোকান পাট ছাড়াও আরও কিছু সম্পদ ছিল। সব মিলিয়ে হবে কোটি টাকার। এখন কার কাছে যাব, কি করব কিছুই দিশা পাচ্ছেন না তিনি। যৌথ পরিবারের সদস্য আলেয়া বেগমের কোলেও দেখা যায় এক ছোট্ট শিশু।

তিনি জানান, তার হাতে খাবার জন্য একটি টাকাও নেই। এখন চেয়ে খেতে হবে। এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ওই পরিবারের পুরুষ সদস্য আবদুল হামিদ ও মৌলভি মাইনুদ্দিন জানান, তাদের পরিবারটি অনেক বড়। ৩০ সদস্যের সবাই বাংলাদেশে কষ্ট করে আসতে পারলেও সব সহায় সম্পত্তি ফেলে আসতে হয়েছে। এখন তারা শূন্য হাতে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অবিবাহিত কোনো মেয়ে নেই যারা ধর্ষণের শিকার হয়নি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অধিকাংশই চলতি সপ্তাহেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। তাদের নৌকা থেমেছে শাপলাপুর গ্রামের সৈকতেই। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তীরে নেমে আশ্রয় নিয়েছে সড়কের এক পাশে। কেউ খোলা আকাশের নিচে। কেউ শিশু আর বৃদ্ধা-বৃদ্ধর জন্য দুটি বাঁশ পুঁতে কাপড় টানিয়ে দিয়েছে। কোনো মতে সেই কাপড়ের নিচে আশ্রয় নিয়েছে ২০ থেকে ২২ জনের মতো। আবহাওয়াও যে তাদের সহায় না। টানা বৃষ্টি পড়ছে। আবার যেটুকু সময় বৃষ্টি নেই সে সময় পড়ছে রোদ।      
                                          >>>>>>>>>>>>> ধর্ষণের  ভিডিও <<<<<<<<<


                                          >>>>>>>>>>>>> ধর্ষণের  ভিডিও <<<<<<<<<

দিল মোহাম্মদ, রসুলসহ একাধিক বায়োজ্যেষ্ঠ রোহিঙ্গা ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, যে তাঁরা দুইদিন ধরে এ এলাকায় আছেন। স্বজনদের নিয়ে জীবনবাজি রেখে বাংলাদেশে এসেছেন। এসব বৃদ্ধ মানুষ নিজেদের একাধিক ছেলে হারিয়েছেন। মিয়ানমারে তাঁদের কারো গ্রামের নাম মেরুল্লা, কারো গ্রামের নাম রাসিদং।

দিল মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমারের পুলিশ, সেনাসদস্য, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং বেসামরিক মানুষরা মিলে খুনের নেশা মেতে উঠেছে। নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে। গুলি করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না তারা, গলা কেটে তা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলছে। হামলার কোনো দিন-রাত নেই।

মোহাম্মদ রসুল জানালেন, হামলার ভয়ে মানুষ মূড়ায় (পাহাড়ি বন) গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও মুক্তি নেই। নির্বিচারে গুলি করা হয়। বনেও লাশ পাওয়া যায় রোহিঙ্গাদের।

দেশ ছেড়ে তরুণ আর তরুণী রোহিঙ্গারা আসে না? ওরা কোথায়? ষাটোর্ধ রহিম উল্লাহ বলেন, ওদের বাঁচিয়ে রাখলে তো! হামলা হলে সবার আগে মারা হয় তরুণ ও যুবকদের। গুলি করে থেমে থাকে না, মৃত শরীরটাকে নিয়েও যাচ্ছেতাই করে ওরা। আর তরুনী? অবিবাহিত কোনো মেয়ে নেই যারা ধর্ষণের শিকার হয়নি। ধর্ষণের পর ওদের বাঁচিয়ে রাখে না তারা। গলা কেটে হত্যা করে।

সলিমুল্লাহর বয়স ৬৫ হবে। এসব কথা শুনতে শুনতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁর দাবি, তাঁর দুই ছেলেকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনারা। তিনি জানালেন, তিনি এমন দৃশ্য দেখেছেন যা ভাবলেও তিনি ঘুমাতে পারেন না। সেটা কী? জানতে চাইলে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। বললেন, ‘একটা মাঠের কোনায় কেবল মানুষের কাটা মাথা স্তূপ করে রাখা হয়। গলা কেটে এনে মাথাটা ফেলা হয় ওই স্তূপে। স্তূপটা একসময় অনেক বড় হয়।’

সলিমুল্লাহর চোখের পাতা পড়ছিল না। একনজরে তাকিয়ে ছিলেন। দেশে বাড়িঘর, জমি আছে। আবার সব ঠিক হলে ফিরবেন না? তিনি বললেন, ‘যা দেখলাম, কীভাবে বলি সব ঠিক হয়ে যাবে? কীভাবে বলি আবার শান্তি আসবে?

মিরপুরে ম্যানহোল থেকে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

রাজধানীর মিরপুরে ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

তবে ১৫ বছরের ওই কিশোরের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি আফিসার এনায়েত হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে মিরপুরের ৭ নম্বরের চলন্তিকা মোড়ে অবস্থিত জিতা গার্মেন্টের পানির লাইনে সমস্যা দেখা দিলে তা পরিষ্কার করার জন্য এক কিশোরকে নামানো হয়। সেখানে নামার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার লাশ উদ্ধার কর হয়।

বিডিপ্রতিদিন/ ইমরান জাহান/ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


                                                                     বিস্তারিত দেখতে >>>>

সিলেটে খাবারে বিষক্রিয়ায় প্রবাসীসহ ৬ জন হাসপাতালে

সিলেট নগরীর খাদিমপাড়া এলাকায় রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবার।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রবাসী নামারা বেগমসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বুধবার ভোররাতে নামারা বেগমকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যরা হলেন- প্রবাসী ওই পরিবারের সদস্য মিসবাহ বেগম, মাইজা বেগম, মাহিমা বেগম, সাহেদা বেগম ও আজিজুর রহমান। তাদের জ্ঞান ফিরেছে এবং অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাসার কেয়ারটেকার আল আমিন  জানান, সিলেট শহরতলীর খাদিম পাড়া ইউনিয়নের আল মদিনা আবাসিক এলাকায় প্রবাসী নামারা বেগম ও পরিবারের সবাই রাতের খাবার খাওয়ার পর থেকে বমি করা শুরু করেন। একসময় তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশি ও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়। রাত ১২টার দিকে অসুস্থ ৬ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নামারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দী
    

                                                                  বিস্তারিত দেখতে >>>>